সারা দেশের মতো পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জেও চলছিল তীব্র তাপদাহ। গত কয়েকদিন থেকে হাটে-বাজারে, রাস্তাঘাটে, বাসা-বাড়িতে সব জায়গায় দেখা গেছে গরমে মানুষের অস্বস্তি। কোনোভাবেই যেন স্বস্তি পাচ্ছিলেন না মানুষ। রমজান মাসে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে মানুষ কষ্ট করে রোজা রাখছিলেন। এই গরম থেকে বাঁচতে মানুষ একটু হলেও বৃষ্টি চেয়েছিলেন। অবশেষে এলো সেই স্বস্তির বৃষ্টি। জুড়িয়ে দিলো মানুষের মন-প্রাণ।
শুক্রবার (৭ মে) সকাল ১১.৩০ মিনিটের পর থেকে আকাশ অন্ধকার হয়ে মেঘ জমেছিল। সেই সঙ্গে ছিল হালকা বাতাস। বৃষ্টি নামবে নামবে করেও নামছিল না। অপেক্ষার প্রহর শেষে দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলায় বৃষ্টি নেমে টানা ৩০ মিনিট বৃষ্টি হয় ও মাঝে মাঝে বজ্রপাত হয়। বহু আকাঙ্ক্ষিত এই বৃষ্টি মানুষের মন-প্রাণ শান্ত করেছে। লোকজন উপভোগ করেছেন বৃষ্টি।
দেখা যায়, বৃষ্টি হওয়ায় শক্ত মাটি নরম হয়েছে। যে সকল ফসলি জমি পানির জন্য হাহাকার করছিল, মাটি ফেটে যাচ্ছিল, ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল, এই বৃষ্টির কারণে আবারও সে মাটি কিছুটা হলেও উর্বরতা ফিরে পাচ্ছে।
বয়োবৃদ্ধ মোঃ হানিফ হাং বলেন, ‘অনেক কষ্ট হয়েছে গত কয়েকদিন। আজ আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই বৃষ্টি দেওয়ার জন্য। এখন কিছুটা হলেও স্বস্তি অনুভব করছি। তবে আরো কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলে ফসলের জন্য ভালো হতো।