চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের ওপর হামলার ঘটনায় জাহিদ-৭ লঞ্চের ৫ স্টাফকে আটক করেছে চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে চাঁদপুর নৌ থানায় হামলার শিকার ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী যাত্রীবাহী লঞ্চ এম ভি জাহিদ-৭ যোগে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার ধুলিয়া ইউনিয়নের ঘুচরাকাঠি গ্রামের মোশারফ হোসেন ভূইয়া তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ লঞ্চযোগে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য চাঁদপুর আসে। লঞ্চের ভেতরে মোশারফ ভূইয়ার ছেলে মেহেদী হাসান ও ভাতিজা কাউসার কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। এ সময় কেবিন বয় যাত্রীর জন্য চা নিয়ে এলে চা পড়ে যায়।
এ নিয়ে লঞ্চ স্টাফ ও যাত্রী মেহেদী হাসান ও কাউসারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে লঞ্চটি যাত্রা বিরতি করলে যাত্রি মোশারফ ভূইয়া তার পরিবার নিয়ে লঞ্চ থেকে নামতে গেলে লঞ্চ সুপারভাইজার সাইদুর মৃধা ও স্টাফরা মিলে তাদেরকে লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। চাঁদপুর নৌ পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় চাঁদপুর নৌ পুলিশ জাহিদ লঞ্চের সুপারভাইজার পটুয়াখালীর বাউফল থানার ছহিস্যা তাতের কাঠি গ্রামের সাইদুর রহমান মৃধা (৩০), ভোলার শশিভুষন থানার রসুলপুর গ্রামের হোসেন (৪০), পটুয়াখালীর বাউফল থানার সিংহেরা কাঠি গ্রামের রাসেল হাওলাদার (২৭), পটুয়াখালীর বাউফল থানার তাহের কাঠি গ্রামের জুয়েল খন্দকার (২৩)ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার বড় রঘুনাথপুর গ্রামের রাজিব হোসেন খান ( ২২) কে পুলিশ আটক করেছে।
হামলায় গুরুতর আহত রাকিব চৌধুরী ( ১৮), শিমুল বেগম (৩৫), লিমা আক্তার (১৮), মেহেদী হাসান (১৭) ও কাউসার (২০) কে রাতেই পুলিশ উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছে।
এ ব্যাপারে লঞ্চ যাত্রী মোশারফ হোসেন ভূইয়া বাদী আটককৃতদের নাম প্রকাশ করের আরো ৫/৬ জনকে আসামি করে চাঁদপুর নৌ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃতদের গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।