পটুয়াখালীর বাউফলে ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় চশমা মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী এস.এম মহসিনকে(৫৩) কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে নৌকা মার্কার প্রার্থী ইব্রাহীম ফারুকের সমর্থকরা।
হামলায় আহত হয়েছেন চশমার আপর আরও অন্তত ১০জন নেতা- কর্মী। গতকাল বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের তাতের কাঠি গ্রামের সরোয়ার খানের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চশমা মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মহসিন কোরবানীর গরু ক্রয়যের উদ্দ্যেশ্যে পায়ে হেটে নিজ বাড়ি থেকে নুরাইনপুর বাজারে যাচ্ছিলেন। এসময় বিপরিত দিক থেকে নৌকা মার্কার মোটরসাইকেল শোডাউন আসতে দেখে রাস্তার পাশে সরোয়ার খানের বাড়ির সামনে দাড়িয়ে যান। মিছিলটি তাদেরকে অতিক্রম করে কিছু দুর যাওয়ার পর গাড়ি থামিয়ে মহসিনকে ধাওয়া করে। সে দৌড়ে গিয়ে সরোয়ার খানের ঘরে আশ্রয় নেয়। পরে ইব্রাহীম ফারুকের সমর্থকরা ওই ঘরটির উপর হামলা করে মহসিনসহ তার সাথে থাকা অপর আরও ৮-১০জনকে পিটিয়ে আহত করে।
এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মহাসিন বলেন,”তিনি শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসেন। কোরবানির গরু ক্রয় করার জন্য তার ভাই ইউপি সদস্য মিন্টুকেসহ কয়েকজন নেতাকর্মিকে নিয়ে নুরাইনপুর বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে চেয়ারম্যান প্রাথী ইব্রাহিম ফারুকের (নৌকা মার্কা)সমর্থিত প্রাথীর ছেলে সৌমিক এর নেতৃত্বে জসীম, মর্তুজা, শামিম, আনোয়ার, সাইফুল, সোহেল বশিরসহ শতাধিক মোটরসাইকেল বহর এসে তাকে ধাওয়া করলে তিনি (মহাসিন) তাঁতেরকাঠি এলাকার সরোয়ার খানের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বাড়ীর গেট বন্ধ করে দেন। পরে হামলাকারিরা গেট
ভেঙ্গে বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে তাকে ( মহাসিন) কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে মহসিন সমর্থিত লোকজন সংবাদ পেয়ে আহত অবস্থায় মহসিনকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।”
এ হামলার ঘটনাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে নৌকা মার্কা সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুক বলেন, “আমার নৌকা মার্কা সমর্থিত কিছু লোকজন মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছিল এসময় তাঁতেরকাঠি এলাকার সরোয়ার খানের বাড়ির ভিতর থেকে আমার লোকজনের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আমার কর্মী আমির হোসেন মৃধা (৬৫) ও তার ছেলে সোহেল (৩৫) আহত হয়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় আমির হোসেনকে বাউফল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করেন।”
উল্লেখ্য, ৯ম ধাপের নির্বাচনে(৭ ফেব্রুয়ারী) নির্বাচিত নৌকার প্রার্থী আমির হোসেন ব্যাপারী ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃতবরণ করলে আসনটি শূণ্য হয়।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, “সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।